মাটি তৈরি হয়ে গেছে। এ হাতেই তৈরি হবে পুতুল, খলেনা। ভাবছি এবার শহরে যাবো। শহরে এর অনকে কদর আছে। শুনেছি বেচাবিক্রিও বশে ভালো।
ফেরার পথে অনুর জন্য একটা শাড়ি কিনে আনবো। অনুটা সেই কবে থেকে অপেক্ষায় আছে একটা লাল শাড়ির; যা আমি প্রতিবার গায়ে জড়িয়ে দেই মাটির পুতুলের। অথচ মেয়েটাকে একটা লাল শাড়ি কিনে দিতে পারিনি কখনো।
পুতুলগুলো সব যেনো অন্নদেবী! আমাদরে সংসারের অন্ন যোগায়। তাইতো নিজের মেয়েকে রেখে খুব জতনে ঐ কথা না বলা পুতুলগুলোর গায়ে শাড়ি জড়াতে হয় আমাকে।
দখেতে দখেতে অনুটা অনকে বড় হয়ে ওঠছে। পুতুলগুলোর মতো ওকেও হয় তো বিদায় দিতে হবে একদিন।
সংসারে আমরা চারজন- আমি, সুলক্ষণা, অনু ও অভাব। অভাবকে সুলক্ষণা পেটে ধরেনি তবুও সন্তানের মতোই বেড়ে ওঠছে দিনকেদিন। আমাদের প্রতি ওর ভালোবাসাটা একটু প্রবলÑ অনকেটা বিশ্বস্ত কুকুরের মতো, সারাক্ষণ পাহারায় থাকে। দূরে গেলে মনিবের ক্ষতি হয়ে যায় যদি!
গতবার ঘর পুড়লো, কপালটা পুড়লো তারচয়ে বেশি।
শহরথেকে একদল লোক এসেছে বৈশাখী মেলা করবে বলে। শহরে তাদের আয়োজনরে কথা শুনে আমার চোখে একঝাক জোনাকিপোকা ধাঁধা লাগিয়ে দিয়ে গেলো। তাঁদের নাকি পান্তা খেতে অনেক তোরঝোর চলে। অনেক আয়োজন, অনকে টাকা ব্যয় করে তাদের একদনি পান্তা খেতে হয়। অথচ! অনুটার মুখে যে তিনবেলা একটু পান্তা তুলে দেবো! সে সামর্থটুকুনও হয়ে ওঠে না এ পোড়ামাটির পুতুল বেচে। এ সংসারে এসে সুলক্ষণা কবে পটেপুরে খেয়েছিলো! তা মনে নেই। ওর নামটাই যা সুলক্ষণা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
কবিতায় নির্দিষ্ট একটা মানবিকতা পেলাম, কিন্তু বানান বেশি ভুল যা চোখে পড়ার মত। শুভেচ্ছা রইল....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।